প্রকুতি
নিয়ে লেখালেখি করি বলে সবাই আমার কাছে একটি কথাই জানতে চান, আপনার শৈশবে দেখা
প্রকৃতির সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের চেহারার ফারাকটা কেমন লাগে আপনার? আমি তখন
হারিয়ে যাই সত্যিই আমার শৈশবে। শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত গ্রামে।
১৯২৯ সালে
আমার জন্ম। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে। সেখানেই কেটেছে আমার
ছেলেবেলা। সেই ত্রিশ-চল্লিশের দশকে বাংলাদেশের মানুষ অতটা যান্ত্রিক হয়ে যায়নি।
তাই সবুজ বনানী আর জলাভূমির সঙ্গেই ছিল মানুষের সখ্য।
আমাদের
গ্রামের কাছেই ছোট ছোট পাহাড়। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নিকড়ি নদী। দু’কুল ছাপিয়ে যেত
সবসময়। এতই ছিল তার ঐশ্বর্য। ওই নদীতে তখন ঢাকা থেকেও নৌকায় লোকজন আর মালামাল আসত।
আহা, কোথায় হারিয়ে গেছে আমার নিকড়ি! গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া
নদীর তালিকায় যুক্ত হয়েছে ওর নাম। আমাদের গ্রাম থেকে চার কিলোমিটার দূরে পাথারিয়া
পাহাড় যেখানে আছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। মাঝে মাঝে যাই ওখানে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে
ওটাও। আমার ছেলেবেলার স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওই নদী, ওই পাহাড়, ওই সবুজ বনানী
গ্রামীণ কিশোরের ব্যস্ত দিন যেখানে কাটত।
সেই দেখার
সঙ্গে এখনকার দেখাকে তো মেলাতে পারি না। আমরা নিজেরাই ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো
নিজেদের প্রিয় পৃথিবীটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছি একটু একটু করে নয়, খুব দ্রুতই। মানুষের
লোভের কাছে প্রতিনিয়তই হার মানছে বসুন্ধরা। আর বাংলাদেশে তো প্রকৃতি আর পরিবেশকে
ধ্বংস করার হার আরও ভয়াবহ।
এখন আমরা
পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে নানা কথা বলছি। এ নিয়ে কি আরও আগেই ভাবা উচিত ছিল না? বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তির যত উন্নতি হয়েছে তত আমরা প্রকৃতিকে নষ্ট করেছি। আমরা তো প্রকৃতিরই
সন্তান। তাই প্রকৃতির সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া খুবই দরকার ছিল। আসলে আমাদের অর্থনীতির
নিয়মকানুনগুলোই এমন যে আমরা কোথাও থামতে পারি না। তাই প্রকৃতিও এখন নিউটনের তৃতীয়
সূত্রের মতো উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। প্রত্যাঘাত শুরু করেছে।
বাংলাদেশে
আমরা ১৬ কোটি লোক। আমরা সবসময়ই বলি, জনসংখ্যা কোনও সমস্যা নয়। এই জনসংখ্যাকে
জনসম্পদে রুপান্তর করতে হবে। ঠিক আছে, আমরা না হয় শিক্ষা দিয়ে বা প্রযুক্তির
সাহায্যে এই বিরাট জনগোষ্ঠীকে সম্পদ বানানোর চেষ্টায় লেগে গেলাম। তখন কিন্তু আমরা
মানুষের কথাই ভাবব, প্রকৃতির কথা নয়। প্রকৃতিকে নানাভাবে শুষে নিয়ে মানুষের কল্যাণ
করব। প্রকৃতিকেই তো মানুষের অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান করতে হয়। আর তাতেই ধ্বংস হয়
পরিবেশ। এভাবে বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে নদী, মাটি, পাহাড়, বন, জলাভ’মি, প্রাণীজগত
নানাভাবে বিপর্যস্ত হয়। উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক মডেলগুলো অনুসরণ করতে গিয়ে আমরাও
একইভাবে পরিবেশে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নানা কর্মসূচি নিচ্ছি। গাছপালা উজাড় করে
কারখানা হচ্ছে, নদী ভরাট করে মানুষের বাসস্থান হচ্ছে, সমুদ্রের তটভূমি পর্যন্ত দখল
করছে মানুষ! ওদিকে ভূগর্ভ থেকে পানি তুলতে তুলতে পানির স্তরও নেমে গেছে অনেক নিচে।
প্রকৃতির
ওপর এসব অত্যাচারের ফলে সেও যে রুদ্র হয়ে উঠছে এর প্রমাণ আমরা নানাভাবে দেখতে
পাচ্ছি। আমাদের আবহাওয়া ক্রমেই উষ্ণ হয়ে উঠছে। জলাবদ্ধতা বেড়ে যাচ্ছে। ফারাক্কা
বাঁধ ইত্যাদির ফলে আমাদের এ অঞ্চল শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। তবু যেন এ নিয়ে আমাদের কোনও
ভাবনা নেই। আরও দশ বছর বা বিশ বছর পর আমরা কোথাও থাকব কীভাবে খাব, আমাদের
অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান এই দেশ করতে পারবে কিনা এসব নিয়ে কেউ ভাবছে বলে মনে হয় না।
ভারতের সঙ্গে একসময় তালপট্টি নামের একটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে আমাদের বিরোধ তৈরি
হয়েছিল। সেই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে গেছে। আগামী কয়েক বছরে আমাদের ব্যাপক অংশ
চলে যাবে সমুদ্রের নিচে। তখন তিন কোটি লোক বাস্তুচ্যুত হবে। কে নেবে এই লোকগুলোকে?
বিশ্বের কোনও দেশ কি নেবে?
মালয়েশিয়ার
জনসংখ্যা ৬ কোটি আর থাইল্যান্ডের ৫ কোটি মাত্র। দেশ দুটো আমাদের চেয়ে আয়তনে অনেক
বড়। ওরাও প্রকৃতিকে অনেক নষ্ট করেছে। বনজঙ্গল কেটে উজাড় করেছে। তবে জনসংখ্যা কম
বলে ক্ষতিটা ওরা সামাল দিতে পেরেছে।
আমাদের এই
যে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি, এটা আমাদেরই উদ্ভাবিত অনন্য একটি ব্যবস্থা! একসময় বন
বিভাগের কাজ ছিল বনে উন্নতমানের গাছ লাগানো। সেগুন, মেহগনি ইত্যাদি গাছ লাগাত
তারা। কিন্তু সরকার আর পেরে উঠছিল না। তাই পাবলিককে গাছ লাগানোর দায়িত্ব দিয়ে
দেওয়া হলো। এরপর থেকে প্রচুর গাছ কিন্তু লাগানো হচ্ছে। সমস্যা হলো, মোটিভেশনটা
এমনভাবে হয়েছে যে লোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থকরী গাছ লাগাচ্ছে। ফলের গাছ, ফুলের
গাছ লাগানোই হয় না। দশ বা বিশ বছর পর ওসব অর্থকরী গাছ কিন্তু কেটে ফেলা হবে।
তাহলে?
আসলে এটাই
কেউ বুঝতে চায় না যে বনাঞ্চলে বৈচিত্র্য দরকার হয়। একটি নির্দিষ্ট বনাঞ্চলে
উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করেই ওই অঞ্চলের প্রাণীজগত আবর্তিত হয়। উদ্ভিদের আশ্রয়েই নানা
রকম পাখি, পোকামাকড় ও প্রাণী নিজেদের টিকিয়ে রাখে। যখন এই বৈচিত্র্য থাকে না, শুধু
নির্দিষ্ট কয়েক প্রজাতির গাছ লাগানো হয়, তখন সেখানে প্রাণীজগতের অন্নের সংস্থান হয়
না। জীবনের শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ে। শস্যখেতে পোকামাকড়ের সংখ্যা বেড়ে যায়। আর যেসব পাখি
এই পোকাগুলো খেয়ে বাঁচে এবং এভাবে ফসল রক্ষা করে সেগুলো না থাকায় ফসল উৎপাদন কমে
যায়। তাতে আবার মানুষের খাদ্যশস্যের জোগান কমে। তাই এভাবে বাস্তুসংস্থান নষ্ট করে
প্রকৃতিকে রক্ষা করা যাবে না।
এ যুগে
পর্যটন একটি বিরাট ব্যবসা। যে দেশে জনসংখ্যা কম তারা পরিবেশটাকে মোটামুটি ঠিক রেখে
এ ব্যবসা চালাতে পারে। তাতেও অবশ্য রক্ষা নেই। মানুষের স্বভাব খুব খারাপ। যেখানেই
যায় পরিবেশ নষ্ট করে। আমি উন্নত দেশেও দেখেছি, পরিবেশবাদীরা জাল দিয়ে পর্যটকদের
ফেলে যাওয়া ক্যান, প্যাকেট ইত্যাদি আবর্জনা কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আর আমাদের
মতো বিরাট জনসংখ্যার দেশে এ ধরনের পর্যটন ব্যবসা রীতিমতো পরিবেশ-বিপর্যয়কারী।
কুয়াকাটা ডুবে যাওয়ার খুবই আশঙ্কা রয়েছে। বিরোধপূর্ণ তালপট্টি ছাড়াও ভারতের
পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবনের কাছের কয়েকটি দ্বীপ ডুবে গেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যে
বাড়ছে এটা তার প্রমাণ। তাহলে এখানে যে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘এত টাকা দিয়ে
একটি অ্যপার্টমেন্ট কিনুন ওখানে, একশ বছরের জন্য মালিকানা ইত্যাদি ইত্যাদি– এ সব
দেখার যেন কেউ নেই। কক্সবাজারে সমুদ্রের বেলাভূমি দখল করে পর্যন্ত স্থাপনা হচ্ছে।
এসব নিয়ে লাগাতার বিজ্ঞাপন চলছে পত্রপত্রিকায়। ইদানিং একটু নড়েচড়ে বসছেন সবাই।
আমার প্রশ্ন হল, এতদিন কি ওরা ঘুমিয়ে ছিলেন? বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু নদীগুলোর মতো
নদী দূষিত হতে হতে শেষ হয়ে গেছে। এতদিন পরে আমাদের যেন হুঁশ হচ্ছে।
আমাদের সেই
পাথারিয়া পাহাড়ের ওপরে একটা বাঁশবন ছিল। সেই বনটা আর নেই। এখন ওখানে আবার সামাজিক
বনায়ন হচ্ছে। উচিত ছিল বনের পুনর্জন্ম দেওয়া। সামাজিক বনায়ন নয়, প্রকৃতির হাতেই
প্রকৃতিকে বিনির্মাণের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। তা না করে মানুষকে বন্দোবস্ত দিয়ে
দিল। কোথায় প্রাকৃতিক বন আর কোথায় সামাজিক বন!
আমার এসব
দেখলে খুব বিভ্রান্তিকর মনে হয় যে আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি মনে হয় তলানিতে পৌঁছে
গেছে। আসলে এসবই হলো জ্ঞানের অভাব, দূরদর্শিতার অভাব, বাস্তব বিচার-বিশ্লেষণের
অভাব। পৃধিবীর অনেক দেশেই অনেক কিছু হয়। তবে আমাদের এখানে সবকিছুই খুব নগ্নভাবে
হয়।
আগেই
বলেছি, নিকড়ি নদীর চারপাশে কেটেছে আমার ছেলেবেলা। এখান থেকে মাটির হাঁড়িপাতিল,
ফলফলাদি, আরও কত কিছু নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হত দুর-দূরান্তে। খুব বেশি চওড়া নয়
নদীটা। মাত্র দশ মিটারের মতো। কিন্তু পানি ছিল অনেক। এখন নিকড়ি একটা মরা নদী।
হেঁটেই পার হওয়া যায়। নদীতে পলি পড়ে পড়ে গভীরতা গেছে কমে। তাই মাঝে মাঝে দু’কূল
প্লাবিত করে সে।
আমরা কেন
ভুলে যাই যে, গাছপালা চল্লিশ ভাগ বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। গাছের নিচে যে সব পাতা
পড়ে থাকে সেগুলো পচে এমন একটা ভাণ্ডার তৈরি হয় যেখানে অনেক পানি জমা থাকতে পারে।
তাই বৃষ্টি হলেই বন্যা হয় না। গাছ যে পানিটুকু ধরে রাখে তা অনেক দিনে চুইয়ে চুইয়ে
নদীতে গিয়ে পড়ে। শীতের দিনেও গাছপালায় আটকে থাকা পানি দিয়ে প্রকৃতিতে পানির
ভারসাম্য থাকে। ওদিকে নদীর গভীরতা বজায় থাকায় সেখানে মাছ থাকে প্রচুর। এভাবেই
প্রকৃতির শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
এখন
গাছপালা কেটে ফেলতে থাকলে কী হবে? স্বভাবতই বৃষ্টির পানি আর আটকে থাকার জায়গা পাবে
না। তখন তা সরাসরি মাটিতে পড়ে মাটির পলি-বালি ধুয়ে নদীতে নিয়ে ফেলবে। নদীর পলিস্তর
উঁচু হবে। গভীরতা কমবে। আর তখনই দ্রুত বন্যা, জলাবদ্ধতা ইত্যাদিও বাড়বে। একই কারণে
শীতের সময়ও পানির সমস্যা দেখা দেবে। মাছও কমবে। এ সব তো খুব সহজ হিসাব।
প্রকৃতি তো
তৈরি হয়েছে লাখ লাখ বছরে। পৃথিবীতে মানুষের জন্মের আগেই গাছপালা, বন, পাহাড়, নদী,
সমুদ্র সব তৈরি হয়েছে। প্রকৃতির এই বিরাট সৃষ্টিযজ্ঞের জন্য সময় লেগেছে লাখো-কোটি
বছর। তাই আজ যা ধ্বংস করছি আমরা তা কি দশ, বিশ কি পঞ্চাশ বছরেও পুনঃনির্মাণ করতে
পারব? সম্ভব নয়।
আমার বাড়ি
থেকে চার মাইল দূরে হাকালুকি হাওর। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে
চল্লিশ মাইল। হাকালুকির মতো হাওর-বাওর পর্যন্ত ভরাট হয়ে যাচ্ছে এখন। তাই আমাদের
এলাকায় এখন বৃষ্টি হলেই নদীতে পানি উপচে পড়ে। এমন আগে কখনওই ছিল না। এই পানি আর
নামেও না। ফলে এলাকাটা একটা পকেটের মতো হয়ে গেছে। আমাদের এই অঞ্চলগুলো ছিল শুষ্ক
অঞ্চল। এগুলোও এখন ভাটি অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বৃদ্ধি, ওজোন স্তর বেড়ে যাওয়া, ক্ষতিকর সিএফসি গ্যাসগুলোর নিষ্ক্রমণ– এসব
কারণে গোটা পৃথিবীই সমস্যায় আক্রান্ত। আমাদের সমস্যা আরও বেশি। বিপুল জনসংখ্যার
দেশ এটি। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ। পাশাপাশি ইকোলজিক্যালি খুব স্পর্শকাতর
আমাদের মাটি। এটি একটি বিরাট ব-দ্বীপ এবং পুরোটাই সমতলভূমি। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে
অনেকগুলো বড় নদী। সমুদ্রের উচ্চতা বাড়লে আমরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হব। হতে পারে
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তেমন বাড়ল না যতটা বলাবলি হচ্ছে। সমুদ্রের নিচে কী হচ্ছে তা
ঠিকভাবে বলা মুশকিল। কারণ এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আগে ঘটেনি। আমরা এখন যা
আশঙ্কা করছি তার সবই অনুমান-নির্ভর।
তবে খালি
চোখেই দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এর স্বাভাবিক প্রভাব আমাদের
ওপর পড়ছে। ওদিকে বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদন কমছে। বাড়ছে তেলশস্যের উৎপাদন। একসময়
হয়তো টাকা দিয়েও খাদ্য পাবে না মানুষ। এত লোককে খাইয়ে-পরিয়ে কি বাঁচিয়ে রাখতে পারব
আমরা?
দ্বিজেন
শর্মা: প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও প্রকৃতিবিশারদ।
১৯২৯ সালের ২৯ মে সিলেট বিভাগের বড়লেখা থানার শিমুলিয়া গ্রামে চন্দ্রকাণ্ড শর্মা ও মগ্নময়ী দেবীর ঘরে জন্ম নেন দ্বিজেন শর্মা।
নিভৃতিপ্রিয়,
প্রচারবিমুখ উদ্ভিদবিদ, নিসর্গী, বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাবিদ দ্বিজেন শর্মা সেই
প্রজন্মের মানুষ যাঁরা এই উপমহাদেশের বৈপ্লবিক সব পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
কিন্তু এসব রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেই তিনি তাঁর প্রকৃতিপ্রেমকে বাঁচিয়ে রাখতে
পেরেছেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ওপর পড়াশোনা থাকলেও তাঁর মধ্যে ছিল শিল্পবোধ আর দেখার
চোখ, সুন্দরকে অন্বেষণের আকাক্ষা। মানবজাতির জন্য তাঁর মনে সব সময় এক অনিঃশেষ
আশাবাদ ও শুভকামনা কাজ করে। লেখালেখির মধ্যেই তাঁর সৃষ্টিশীলতা ফুটে ওঠে বার বার।
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন