অফিসে কাজের পদ্ধতি বদলে দিয়ে কিভাবে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় সেটির উদাহরণ রাখলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।
সেজন্য এ বছর শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট ডিভিশন তাঁকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
উম্মে সালমা তানজিয়া কেন দেশ সেরা জেলা প্রশাসক হলেন? কী করেছেন তিনি?
ক্যাবিনেট ডিভিশন বলছে, ফরিদপুর জেলার নানা ধরনের সরকারী সেবা মানুষের জন্য সহজলভ্য করেছেন জেলা প্রশাসক।
বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস এবং জেলা প্রশাসনের অফিসে সেবার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে দাবী করা হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন সরকারী অফিসে হয়রানী মুক্ত নাগরিক সেবা দেবার লক্ষে মিস তানজিয়া একটি শ্লোগান নির্ধারণ করেন। সেটি হচ্ছে, 'সুশাসনে গড়ি সোনার বাংলা'।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, জেলা প্রশাসনের অফিসে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যাতে দাপ্তরিক কাজে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনা যায়।
প্রতিদিন সকালে একঘণ্টা কর্মকর্তাদের জন্য একটি স্টাডি সার্কেলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারের বিভিন্ন আইন-কানুন নিয়ে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা।
১৯৯৮ সালে প্রশাসনে যোগ দেয়া এ কর্মকর্তা বলেন, "মানুষ মনে করে টাকা ছাড়া কাজ হবে না। একটা একটা মাইন্ডসেট হয়ে গেছে। অবশ্য এর কারণও আছে। আমি চাই এ ধারনা পরিবর্তন করতে।"
তিনি মনে করেন, কাজের পদ্ধতি বদলে দেবার মাধ্যমে দুর্নীতি মোকাবেলা সম্ভব।
জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন সেবা চালু করেছেন তিনি।
ফলে আগের তুলনায় কাজের গতি যেমন বেড়েছে তেমনি অর্থ লেনদেনের ঘটনাও কমে আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন প্রশাসনের এ নারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন কাজ করতে গিয়ে নারী হিসেবে বাড়তি কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় তাকে।
বেশ কিছুদিন আগে তিনি একটি বিষয় সমাধানের জন্য স্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদদের তাঁর অফিসে আসতে বলেন।
"তাঁরা তখন বললো, ওনার কাছে কী যাব? উনি তো মহিলা," বলছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক।
ধীরে-ধীরে এ ধরনের মানসিকতার বদল হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ঢাকায় চলমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরষ্কার দেয়া হবে।
source
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন