বিদায় নিয়েছে জাপান, রেখে গেছে দৃষ্টান্ত

ফুটবল মাঝে মধ্যেই সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার সেই ফুটবলই শান্তির বার্তা বহন করে। আবার কখনো কখনো ফুটবলের মাঠ হয়ে ওঠে দৃষ্টান্ত।
যখন পরাজিত দল শোকাতুর হয়ে ওঠে তখন স্বাভাবিকভাবে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়। সমর্থকেরা শোকে মুহ্যমান হয়ে যায়। বিশেষ করে বিশ্বকাপ এলে তো কথাই নেই। বিশ্বকাপের আবেগটা যেন একটু বেশি, একটু অন্যরকম; একদম ব্যকরণ না মানা। দলের পরাজয়টা যেন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
গতরাতের ম্যাচে জাপান, বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৬৯ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। এই ম্যাচটি কি এগিয়ে থাকা জাপান হেরে যেতে পারে? এমনটা যদি কেউ পরেরদিন সকালে শোনে সে কেন বিশ্বাস করতে চাইবে? কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই জাপান হেরে গেছে।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পরে বেলজিয়াম মরণ-কামড় দিল। তাতে একপর্যায়ে ৫ মিনিটের মধ্যে তারা দিল দুই গোল শোধ করে। এরপর  ৯৪তম মিনিটে সাফল্যটা ধরা দেয় বেলজিয়ামের হাতেই। জাপানের পতাকা অবনমিত হয়ে যায় বিশ্বকাপ থেকে।


হেরে যাওয়া জাপান কান্নায় বিদায় নেয়। কিন্তু ওই যে বলা হয়েছিল দৃষ্টান্ত? ভক্তরা স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে ভেজা চোখে বিদায় নিলেও তাঁদের দ্বারা নোংরা হয়ে যাওয়া জায়গাটা নোংরা রেখে যাননি। হেরে গেছেন, কষ্টে বুক ভেঙে গেছে তবুও জাপানিরা গ্যালারিতে একফোঁটা ময়লা রেখে যায়নি। কেননা এটা তাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
এর আগে কলম্বিয়া ম্যাচের পর স্টেডিয়ামে জাপানিদের গ্যালারি পরিস্কার করার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। বিশ্বকাপে জাপান এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেল।


এ তো গেল দর্শকদের কথা। জাপানি ফুটবলাররাও  তৈরি করেছেন আরেক উদাহরণ। বিশ্বকাপের স্বপ্নযাত্রা শেষ হয়ে গেলেও রাশিয়ানরা হয়তো জাপানি খেলোয়াড়দের মনে রাখবেন অনেক দিনই। বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে যে ড্রেসিং রুমটা তাঁরা ব্যবহার করেছেন, সেটাই তাঁরা পরিপাটি করে গুছিয়ে দরজায় একটা চিরকুট সেঁটে দিয়ে গেছেন। তাতে লেখা, ‘রাশিয়ানদের ধন্যবাদ!’



source
SHARE

About Arifur Rahman

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন